বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
ইরানের সবশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের তেলআবিব, হলোনসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার রাতভর চালানো হামলায় দেশটির বিভিন্ন স্থানে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে সংবাদ প্রকাশে ইসরাইল সরকার নানা বিধিনিষেধ দেওয়ায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
টাইমস অব ইসরাইলসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলীয় শহর হলোনে একটি ভবনে হামলায় আগুন ধরে যায়। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মধ্য ইসরাইলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে।
দেশটির জরুরি সেবাসংস্থা বলছে, লোকজন হামলা থেকে বাঁচতে বোমা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যাচ্ছে। তেলআবিব এবং হাইফা শহরে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকায় ইরানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানে সতর্কতামূলক সাইরেনও বাজান হয়। যাতে শহরের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে চেলে যেতে পারে।
ইরানের সমর্থনে যেসব দেশে বিক্ষোভইরানের সমর্থনে যেসব দেশে বিক্ষোভ
ইরানের হামলায় ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে একটি চারতলা ভবনের ছাদে আগুন ধরে যায়। পরে দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানায়, বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ মধ্য ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা এবং অপারেশনাল সহায়তা কেন্দ্রগুলো তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
এই হামলায় ইরানের নিজস্ব নকশা করা শাহেদ-১৩৬ ড্রোন অংশ নেয়। সেইসাথে কঠিন ও তরল জ্বালানিচালিত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয়।
আইআরজিসি জানিয়েছে, ‘বিশ্বের অন্যতম উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের আটকাতে পারেনি।’
সম্মিলিত ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান ধারাবাহিকভাবেঅব্যাহত থাকবে বলে জানয়েছে আইআরজিসি।